কালোজিরার
উৎপত্তি :
সৃষ্টির আদিকাল থেকে এখন পর্যন্ত কালোজিরা মসলা ও
ঔষধ হিসেবে ব্যবহৃত হয়ে আসছে। বিশ্বনবী হযরত মুহাম্মদ (সঃ) বলেছেন, “তোমরা কালোজিরা ব্যবহার করবে, কেননা এতে একমাত্র মৃত্যু ব্যতীত সর্ব
রোগের মুক্তি রয়েছে”। কালোজিরা প্রোটিন, ভিটামিন B1, ভিটামিন B2, ভিটামিন
B3, ক্যালসিয়াম ও লৌহ পুষ্টি সমৃদ্ধ । আমেরিকার গবেষকরা প্রথম কালোজিরার টিউমার বিরোধী
প্রভাব প্রকাশ করেন। জার্মানির গবেষকরা বলেন, কালোজিরার এন্টিব্যাকটেরিয়াল প্রভাব
রয়েছে। এটি বোনম্যারো ও প্রতিরক্ষা কোষগুলোকে উত্তেজিত করে এবং ইন্টারফেরন তৈরি বাড়িয়ে
দেয়। Medical Science Monitor Journal এ প্রকাশিত প্রতিবেদনে জানা যায়, নিয়মিত কালিজিরা
খেলে মৃগীরোগ, শিশুদের হৃৎপিণ্ডে অ্যাটাকের ঝুঁকি কমে। কালিজিরায় খিঁচুনি বন্ধ করার
উপাদান থাকে। টাইপ ২ ডায়াবেটিস নিরাময় করে। গবেষণায় পাওয়া গেছে, প্রতিদিন ২ গ্রাম কালিজিরা
খেলে রক্তের সুগার লেভেল কমায়, ইনসুলিনের বাঁধা দূর করে এবং অগ্নাশয়ে বিটা কোষের কাজ
বাড়ায়। কালোজিরার গাছের ফুল ও ফল হয়ে থাকে। ফুলের রঙ হয় সাদা ও হালকা নীলাভ বিশিষ্ট্
হয়ে থাকে।এর ফুল থেকে মধু সংগ্রহ করা হয়।এর বীজগুলো একটি খোলসের ভিতরে থাকে। খোলসের
ভিতরে অনেক বীজ থাকে।এই বীজ গুলোকে বলা হয় কালোজিরা। কালোজিরার তেলে ১০০টিরও বেশি
গুরুত্বপূর্ণ উপাদান রয়েছে মানব দেহের জন্য।এই তেলে আছে প্রায় ২১ শতাংশ আমিষ, ৩৮
শতাংশ শর্করা এবং ৩৫ শতাংশ ভেষজ তেল ও ফ্যাট। প্রাচীন কাল থেকে কালোজিরা আয়ুর্বেদিক
চিকিৎসায় ব্যবহার হতো। খ্রিষ্ট পূর্ব ৫ শতকের দিকে কালোজিরার তেল ব্যবহার করা হতো সাপের
কামড়ের বিষ নামাতে,পুরাতন টিউমার সারাতে,এলার্জি,ত্বকের যে কোন সংক্রমণে,যে কোন পোকা
মাকড়ের কামড়ের ক্ষত সারাতে। গ্রিক সভ্যতায় কালোজিরার তেলকে তখনকার বোদিগণ মাথা ব্যাথা
সারাতে ,দাঁতের ব্যাথা কমাতে , মেয়েদের মাসিক জনিত সমস্যা দূর করতে, মাতৃ দুগ্ধ বৃদ্ধিতে
কালোজিরার তেল ব্যবহার করতো।
কালোজিরার মূল স্বাস্থ্য উপকারিতা গুলো নিম্নে উল্লেখ
করা হল:
১) রোগ
প্রতিরোধ ক্ষমতা বৃদ্ধিতে :
কালোজিরাতে উপস্থিত ফসফরাস শরীরের রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বাড়াতে সাহায্য করে। এছাড়া
শরীরের যে কোনও জীবাণুর সংক্রমণ প্রতিরোধ করতেও এটি বেশ কার্যকরী।
২) ক্যান্সার
প্রতিরোধে : সম্প্রতি এক গবেষণায়
দেখা গেছে শরীরে ক্যান্সার উৎপাদক ফ্রি-রেডিকেল অপসারিত করতে পারে কালোজিরা।কালোজিরা
তেলের নিয়মিত ব্যবহার ব্রেইন ক্যান্সার ও ব্রেস্ট ক্যান্সার সেল জন্মাতে বাধা দেয়।
কালোজিরার তেলে থাকা থাইকিউমিন প্রোগ্রাম ক্যান্সার প্রতিরোধে কাজ করে থাকে।
৩) লিভার
ও কিডনি কার্যক্রম সচল রাখতে: ২০১৩
সালের এক গবেষণায় উঠে এসেছে যে, কালোজিরার তেল কিডনি ও লিভারের কার্যক্রম ঠিক রাখতে
সাহায্য করে। কালোজিরা লিভার ক্যান্সারের জন্য দায়ী আফলাটক্সিন নামক বিষ ধ্বংস করে।
৪)
ডায়বেটিস প্রতিরোধে : এন্ডোক্রিনলজি
এন্ড মেটাবলিজম জার্নালের এক রিপোর্টে প্রকাশ করা হয়, কালোজিরায় এন্টিডায়বেটিক প্রোপ্রার্টিজ
ও এন্টি- ইনফালাম্যাটরি কমপ্লেক্স রয়েছে। যা রক্তে সুগার লেবেল নিয়ন্ত্রণে
রাখতে সাহায্য করে। ডায়বেটিকস্ রোগীরা এক চিমটি পরিমাণ কালোজিরা এক গ্লাস পানির সঙ্গে
প্রতিদিন সকালে খালি পেটে খেলে রক্তে গ্লুকোজের মাত্রা নিয়ন্ত্রণে থাকবে। কালোজিরার
চূর্ণ ও ডালিমের খোসা চূর্ণ মিশ্রণ এবং কালোজিরার তেল ডায়াবেটিসে উপকারী। সকালে খালিপেটে
১২/১৩ ফোঁটা কালজিরার তেল ও ১৫/১৬ ফোঁটা মধু খেলে ডায়াবেটিসের উপকার হয়
৫) স্মরণশক্তি
বৃদ্ধিতে কালো : কালোজিরা তেল মস্তিষ্কে
রক্ত সঞ্চালন বৃদ্ধি করে। ফলে মস্তিষ্কের কার্যক্রমতা বৃদ্ধি পায় এবং
স্মরণশক্তি বৃদ্ধি পায়।নিয়মিত এক চামচ করে কালো জিরার তেল মধু মিশিয়ে খেলে ভালো সুফল
পাওয়া যায়। এর সঙ্গে এটি প্রাণশক্তি বাড়ায় ও ক্লান্তি দূর করে।
৬) মাথা
ব্যাথা / পেটের সমস্যায় : মাথাব্যথা
দূর করতে কপালের দুই পাশে দিনে তিন চারবার কালোজিরার তেল মালিশ করলে মাথাব্যাথা
ভালো হয়। তিন দিন খালি পেটে চা চামচে এক চামচ করে তেল পান করুন এতেও উপকার পাবেন।একটি
সুতি কাপড়ের টুকরায় খানিকটা কালিজিরা নিয়ে পুঁটুলি তৈরি করে এই পুঁটুলি নাকের কাছে
নিয়ে শ্বাস টানলে কিছুক্ষণের মধ্যেই মাথা ব্যথা সেরে যাবে।
আয়ুর্বেদিক চিকিৎসা অনুযায়ী, আধা কাপ দুধের সঙ্গে
এক চিমটে কালোজিরার গুঁড়া মিশিয়ে খেতে পারলে পেটের সমস্যা থেকে দ্রুত রেহাই পাওয়া
যায়।
৭ ) চোখের
সমস্যায় : রাতে ঘুমানোর আগে চোখের
উভয়পাশে ও ভুরুতে কালোজিরার তেল মালিশ করুণ। এক কাপ গাজরের রসের সঙ্গে এক মাস কালোজিরা
তেল সেবন করুন। এতে ভালো ফল পাওয়া যায়।
৮) বাতের
ব্যাথায় : বাতের ব্যাথায় কালোজিরার
তেলের নিয়মিত মালিশ বেশ উপকারি। এতে থাকা এন্টি- ইনফালাম্যাটরি ত্বকের সেলগুলোর মাধ্যমে
দেহে প্রবেশ করে বাতের ব্যাথা কমায়।কালোজিরার তেল হালকা গরম করে নিয়ে ব্যথার জায়গায়
মালিশ করুন ব্যথা সেরে যাবে।এছাড়াও ১০/১২ ফোঁটা কালোজিরার তেল গরম পানিতে মিশিয়ে
খেলে বাত রোগের উপকার হয় ।
৯) বুকের
দুধের পরিমাণ বৃদ্ধি: মায়েদের বুকের
দুধের পরিমাণ বৃদ্ধি করতে প্রতিদিন রাত্রে শোবার আগে ৫-১০ গ্রাম কালোজিরা মিহি করে
দুধের সঙ্গে খেতে হবে।এতে ১০-১৫ দিনে দুধের প্রবাহ বাড়বে।এছাড়া এ সমস্যা সমাধানে
কালোজিরার ভর্তা করে ভাতের সঙ্গে খেতে পারেন। সন্তান প্রসবের পর কাঁচা কালোজিরা পিষে
খেলে শিশু দুধ খেতে পাবে বেশি পরিমাণে।
১০) পুরাতন
টিউমার সারাতে: পুরাতন টিউমার সারাতে
প্রাচীন কাল থেকে ব্যবহৃত হয়, আসছে। কালোজিরার তেলে থাকা এন্টি-অক্সিডেন্ট পুরাতন
টিউমারের সেল গুলোকে ধ্বংস করতে সাহায্য করে।
১১) হাঁপানি
দূর করতে : ১৯৬০ সালে মিশরের গবেষকরা
নিশ্চিত হন যে, কালো জিরায় বিদ্যমান নাইজেলনের কারণে হাঁপানি উপশম হয়।হাঁপানি দূর করতে
কালোজিরার তেল অনেক আগে থেকে ব্যবহৃত হচ্ছে। কালোজিরার তেলের নিয়মিত মালিশ বা খেয়ে
বেশ উপকার পাওয়া যায়।
১২) মূত্রথলির
পাথর ও জন্ডিস চিকিৎসায় : মূত্রথলির
পাথর ও জন্ডিস থেকে আরোগ্য লাভ করতে নিয়মিত কালোজিরা খেলে উপকার পাওয়া যায়। হজমের সমস্যায়
১-২ চা-চামচ কালোজিরা বেটে পানির সঙ্গে খেতে থাকুন। এভাবে প্রতিদিন দু-তিন বার খেলে
এক মাসের মধ্যে হজম শক্তি বেড়ে যাবে।পাশাপাশি পেট ফাপা ভাবও দূর হবে।
১৩) ফোঁড়া
সারাতে: ফোঁড়া সারাতে কালোজিরার
তেল অতুলনীয়। ফোঁড়া পেকে গেলে তার মাথায় কালোজিরার তেল দিয়ে রাখলে কয়েক দিনের
মধ্যে ব্যাথা কমে ফোঁড়া সেরে যাবে। তিলের তেলের সাথে কালোজিরা বাটা বা কালোজিরার তেল
মিশিয়ে ফোঁড়াতে লাগালেও ব্যথা উপশম হয় ও ফোঁড়া সেরে যায়।কালোজিরায় রয়েছে
অ্যান্টিমাইক্রোরিয়াল এজেন্ট যা শরীরের রোগ জীবাণু ধ্বংসকারী উপাদান। এ উপাদানের জন্য
শরীরে সহজে ঘা, ফোড়া,সংক্রামক রোগ হয় না।
১৪) ওজন
বা মেদ কমাতে: চায়ের সাথে কালোজিরা
মিশিয়ে পান করলে তা বাড়তি মেদ ঝরে যেতে সাহায্য করে। মেটাবলিজম জার্নালের এক প্রতিবেদনে
প্রকাশ করা হয়, কালোজিরার তেল বডি ম্যাস ইনডেক্স ভালো রাখতে সাহায্য করে। এতে শরীরের
বাড়তি মেদ ঝড়ে যায়।
১৫) হার্ট
ভালো রাখে : কালোজিরার তেলে থাকা
এন্টি-অক্সিডেন্ট হার্টে রক্ত চলাচলের মাএা স্বাভাবিক রাখতে সাহায্য করে। ফলে হার্টের
ওপর চাপ পড়ে কম। সহজে হার্ট সুস্থ থাকে। চায়ের সঙ্গে নিয়মিত কালোজিরা মিশিয়ে অথবা
এর তেল বা আরক মিশিয়ে পান করলে হৃদরোগের ঝুঁকি কম থাকে।
১৬) গ্যাসট্রিকের
সমস্যায়: প্রতিদিন গরম দুধের
সাথে এক চামচ কালোজিরার তেল মিশিয়ে খেলে পেটে গ্যাসের সমস্যা দূর হবে ৷ হজমের সমস্যায়
এক-দুই চা চামচ কালোজিরা বেটে পানির সঙ্গে প্রতিদিন দু-তিনবার খেলে এক মাসের মধ্যে
হজমশক্তি বেড়ে যাবে। পাশাপাশি পেট ফাঁপাভাবও দূর হবে। এক কাপ দুধ ও এক টেবিল চামুচ
কালোজিরার তেল দৈনিক তিনবার ৫-৭ দিন সেবন করতে হবে। এতে গ্যাস্টিক কমে যাবে।
১৭) উচ্চ
রক্ত চাপ নিয়ন্ত্রণে: যখনই গরম
পানীয় বা চা পান করবেন, তখনই কালোজিরা খাবেন। গরম খাদ্য বা ভাত খাওয়ার সময় কালোজিরার
ভর্তা খান রক্তচাপ স্বাভাবিক থাকবে। এ ছাড়া কালোজিরা ,নিম ও রসুনের তেল একসঙ্গে মিশিয়ে
মাথায় ব্যবহার করুণ। এটি ২-৩ দিন পরপর করা যায়।কালোজিরা নিন্ম রক্তচাপকে বৃদ্ধি এবং
উচ্চ রক্তচাপকে হ্রাসের মাধ্যমে শরীরে রক্তচাপ এর স্বাভাবিক মাত্রা সুনিশ্চিতে সহায়তা
করে ।
১৮) পুরুষত্ব
হীনতা / যৌন দুর্বলতা: কালোজিরার
তেল নিয়মিত সেবনে পুরুষের শুক্রানু সমস্যা সমাধান হয়। নারী পুরুষের যৌন শক্তি বৃদ্ধিতে
কালোজিরার তেল গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করে। কালোজিরা চুর্ণ ও অলিভ অয়েল, ৫০ গ্রাম
হেলেঞ্চার রস ও ২০০ গ্রাম খাঁটি মধু একসঙ্গে মিশিয়ে সকালে খাবারের পর এক চামুচ করে
খান।এতে গোপন শক্তি বৃদ্ধি পাবে।
১৯) ঠান্ডাজনিত
রোগ সারাতে : ঠান্ডাজনিত রোগ সর্দি-কাশিতে
গরম রং চায়ে, কাপে কয়েক ফোটা কালোজিরার তেল মিশিয়ে পান করলে বেশ আরাম পাওয়া যায়।
একটা ছোট কাপড়ে কালো জিরা বেঁধে সেটি রোদে শুকোতে দিন। ঘণ্টা খানেক রোদে রাখার পর
কালোজিরা ভরা কাপড়ের টুকরাটি নাকের কাছে ধরলে বুকে, মাথায় জমে থাকা কফ তরল হয়ে সহজে
বেরিয়ে যায়। এতে মাথা ধরা বা ঝিম ঝিম ভাব দূর হয়ে যায়।
২০) দাঁতের
সুরক্ষায় এবং জীবাণু প্রতিরোধে:
দাঁতে ব্যথা হলে কুসুম গরম পানিতে কালোজিরা দিয়ে কুলি করলে ব্যথা কমে এবং জিহ্বা,
তালু, দাঁতের মাড়ির জীবাণু মরে। এছাড়া নারিকেল তেলের সাথে কয়েক ফোটা কালোজিরার তেল,কয়েক
ফোটা লবঙ্গ তেল, তিলের তেল মিশিয়ে কুলকুচি করলে দাঁতের গোড়া শক্ত হয়,মুখের
জীবনু মরে ,মুখের দূর্গন্ধ দূর হয় ,দাঁতের হলুদ ভাব দূর হয় এবং মাড়ি থেকে রক্ত পড়া
বন্ধ হবে।
২১) পক্ষাঘাত
(প্যারালাইসীস): প্যারালাইসীস
ও কম্পন রোগে কালো জিরার তৈল মালিশ করলে আশ্চর্যজনক ফল পাওয়া যায়।
২২) ব্রনের
ও ত্বকের সমস্যায় : কালোজিরার তেলে
থাকা ফ্যাটি এসিড ও অ্যামানো এসিড ত্বকের ভিতরের লিপিড লেয়ারকে ময়েশ্চারাইজ করে।
এতে থাকা এন্টি-অক্সিডেন্ট ত্বকের সেল গুলোকে উজ্জ্বল করে এবং এন্টি-মাইক্রোবিয়াল,এন্টি-ইনফালাম্যাটরি
ত্বকের ব্রনের জীবনু গুলো ধ্বংস করে।কালোজিরার তেল প্রথম সপ্তাহে ৫৮% জীবানু ধ্বংস
করে এবং দ্বিতীয় সপ্তাহে ৩৮% জীবাণু ধ্বংস করে । এছাড়া ত্বকের চুলকানিতে ভালো কাজ
করে।
২৩) একজিমা
সমস্যায় : ত্বকের একপ্রকার বিশ্রী
সমস্যা হচ্ছে একজিমা। কালো জিরার তেলের এন্টি-বায়টেরিয়াল কমপ্লেক্স ত্বকের অভ্যন্তরীণ
থেকে একজিমার সেল গুলো কে ধ্বংস করে এবং রোগটি সারিয়ে তুলতে সাহায্য করে।
২৪) শ্বেত
রোগ দূর করতে: শ্বেত বা ছুলী রোগে
কালো-জিরার তেল বেশ উপকারী। আগে একটুকরো আপেল ছুলীর স্থানে কিছু ক্ষণ ঘষে নিতে হবে।
তারপর সেই স্থানটিতে কালোজিরার তেল লাগাতে হবে।এভাবে একমাসে অনেকটা ছুলী রোগের সমাধান
হয়ে যাবে।
২৫) ত্বকের
বলিরেখা দূর করণে : কিছু মানুষ
বয়সের আগে মুটিয়ে যায়। ফলে ত্বকে বলিরেখা দেখা যায়। কালোজিরার তেলে থাকা এন্টি-অক্সিডেন্ট
ত্বকের বলিরেখা দূর করতে সাহায্য করে। এতো আরও রয়েছে এন্টি-ফালাম্যাটরি যা ত্বকের
স্ট্রেস গুলো দূর করে।
২৬) চোখের
পাপড়ির ঘনত্ব বৃদ্ধিতে : অনেকেই
ঘন কালো চোখের পাপড়ি চায়।কয়েক ফোটা কালোজিরার তেল রাতে ঘুমাতে যাওয়ার আগে চোখের
পাপড়িতে ব্যবহার করুন এবং সকালে মুখ পরিষ্কার করে ফেলুন।এতে চোখের পাপড়ির ঘনত্ব বাড়বে।
২৭) চুল
পড়া কমাতে: বিভিন্ন রকম দুশ্চিন্তা
ও অস্বাস্থ্যকর জীবন যাপনের কারণে আমাদের অকালে চুল পেকে যায় । সেক্ষেত্রে কালো জিরার
তেল হালকা গরম করে চুলের গোড়ায় ম্যাসেজ করলে চুলের গোড়ার রক্ত চলাচল বৃদ্ধি
পায় এবং চুলের অকাল পেকে যাওয়া কমে।কালোজিরার তেলে থাকা অ্যামানো এসিড চুলকে লম্বা
করতে সাহায্য করে সাথে চুলের কার্বন ফিরাতে সাহায্য করে।এতে সহজেই চুল কালো ও ঘন হয়।
সাধারণত চুলের ফলিক এসিড হ্রাস পেলে চুল পাতলা ও রুক্ষ হয়ে যায়।এই সমস্যা সমাধানে
রাতে ঘুমাতে যাওয়ার আগে আধা চা চামচ কালোজিরার তেল চুলের গোড়ায় ম্যাসেজ করতে হবে।এক
ঘন্টা পর চুল শ্যাম্পু করে ধুয়ে ফেলুন।প্রতিদিন ব্যবহারে চুলের হারোনো স্বাস্থ্য ফিরে
পাবে।
২৮) এছাড়াও
কালোজিরার গুনাগুণ: ১৫/১৬ টি কাল
জিরা, ছোট ১টি পিয়াজ ও ২ চামচ মধু সহ বিকালে/রাতে খেলে চির যৌবন রক্ষা হয়।
কালিজিরার
সর্তকতা:
কালিজিরা নিয়মিত ও পরিমিত খেতে হয়। অতিরিক্ত খুব বেশি খেলে বা ব্যবহার করলে হিতের বিপরীত হয়। কালোজিরার তেল গর্ভাবস্থায় গ্রহণ করা যাবে না। গর্ভাবস্থায় অতিরিক্ত কালিজিরা খেলে গর্ভপাতের সম্ভাবনা থাকে। কালিজিরা গ্রহণ করার সবটাই করতে হবে পরিমিত পর্যায়ে। অনেকেই কালিজিরা হজম করতে পারেন না। তবে আস্তে আস্তে অভ্যাস করলে ভালো। যারা সহজে কালিজিরা হজম করতে পারেন না তারা খাবেন না, যারা পারেন তারাই নিয়মিত পরিমিত খাবেন। গর্ভাবস্থায় ও দুই বছরের কম বয়সের বাচ্চাদের কালিজিরার তেল সেবন করানো উচিত নয়। নকল বা কৃত্রিম কালিজিরার তেল কখনও খাওয়া ঠিক না। জেনে শুনে বুঝে নিশ্চিত হয়ে কালিজিরা বা কালিজিরার তেল সরাসরি বা প্রক্রিয়াজাত করে খেতে হবে। পুরনো কালিজিরা তেল স্বাস্থ্যের জন্য অত্যন্ত ক্ষতিকারক।
কালিজিরা নিয়মিত ও পরিমিত খেতে হয়। অতিরিক্ত খুব বেশি খেলে বা ব্যবহার করলে হিতের বিপরীত হয়। কালোজিরার তেল গর্ভাবস্থায় গ্রহণ করা যাবে না। গর্ভাবস্থায় অতিরিক্ত কালিজিরা খেলে গর্ভপাতের সম্ভাবনা থাকে। কালিজিরা গ্রহণ করার সবটাই করতে হবে পরিমিত পর্যায়ে। অনেকেই কালিজিরা হজম করতে পারেন না। তবে আস্তে আস্তে অভ্যাস করলে ভালো। যারা সহজে কালিজিরা হজম করতে পারেন না তারা খাবেন না, যারা পারেন তারাই নিয়মিত পরিমিত খাবেন। গর্ভাবস্থায় ও দুই বছরের কম বয়সের বাচ্চাদের কালিজিরার তেল সেবন করানো উচিত নয়। নকল বা কৃত্রিম কালিজিরার তেল কখনও খাওয়া ঠিক না। জেনে শুনে বুঝে নিশ্চিত হয়ে কালিজিরা বা কালিজিরার তেল সরাসরি বা প্রক্রিয়াজাত করে খেতে হবে। পুরনো কালিজিরা তেল স্বাস্থ্যের জন্য অত্যন্ত ক্ষতিকারক।
তথ্যসূত্র: সংগৃহীত
কোন মন্তব্য নেই:
একটি মন্তব্য পোস্ট করুন